জিয়াউল হক জিয়া :: চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নের সবচেয়ে জনবহুল ব্যস্ততম সড়কের নাম হাফেজখানা টু শান্তিবাজারের গ্রামীণ সড়ক।এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন নূন্যতম দশ হাজার মানুষের চলাফেরা।এমন একটি সড়ক সংস্কার কাজে বাঁধা প্রদান করায়,প্রায় ৩শ হাতের মত সড়কের কাজ না করেই চলে যায় ঠিকাদার।খানাখন্দকে পড়ে আছে সড়ক।যার ফলে যানচলাচল বন্ধ ছিল।তাই দীর্ঘ দুইবছর যাবৎ চরম র্দূভোগ পোহাতে হয়েছিল জনগণকে।
অবশেষে খুটাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রহমান ষড়যন্ত্রের ভেড়াজাল ভেঙ্গে অসমমাপ্ত কাজটি শেষ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়,খুটাখালী বাজার থেকে শুরু করে হাফেজখানা হয়ে শান্তিবাজার এলাকা পৌছে সড়কটি।যে সড়ক দিয়েই প্রতিদিন দশ হাজারের অধিক মানুষ আসা-যাওয়া করে।তৎমধ্য স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা কঁচি শিক্ষার্থী সহ সকল পেশাজীবী মানুষ।এছাড়া এই সড়কে সিএনজি,অটোরিকশা ও টমটম মিলে প্রতিদিন দুইশত মত থ্রী-হুইলার গাড়ীর চলাচল করে,করতো।মধ্যখানে সড়কটি সংস্কারে হাফেজখানা পাশ দিয়ে যাওয়া প্রায় ৩শ হাত জায়গাতে থ্রী মূখি বাঁধা।যে বাঁধায় ঠিকাদার কাজ না করে চলে যায়।ফলে চলমান বর্ষার মৌসুমের বৃষ্টির পানিতে নর্দমা হয়ে,চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ে।তাই জনগণের চলাচল বিঘ্নতা নিরসনে চেয়ারম্যান মহোদয় ভেড়াজাল ভেঙ্গে গত রবিবার সড়কের সংস্কারের বাকী অংশটুকু অতিব কষ্টে শেষ করল।
কাজটির তত্ত্বাবধায়নে থাকা ইব্রাহীম জানান,হাফেজখানার ঘাঁ-ঘেষা সড়কটির অংশটুকু সংস্কার করতে গিয়ে ২৫ ডাম্পার মাটি দিয়ে ভরাট করতে হয়েছে।মাটি ভরাটে পরে চাপানো হয়।এর উপরে সাড়ে ৬হাজার ইট বসানো হয়েছে।বসানো ইটের উপরে একটন লোহা দিয়ে জালি করেই,তার উপর আরসিসি ঢালাই করা হয়।ঢালাই করতে গিয়ে ৬শত ১০ফুট কংকর,প্রায় ১০ডাম্পার বালি,১শত ২০বস্তা সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়।যদি ঠিকাদারের কাজটি করতে পারতো।তাহলে এতটাকাও খরচ হতো না,জনগণও র্দূভোগে পড়তো,চেয়ারম্যানেরও এতকষ্ট করতে হতো না।
খুটাখালীর চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রহমান জানান,সড়কটি সংস্কারের ঠিকাদারকে বাঁধাগ্রস্ত করা হয়।ঠিকাদার ত্রি-মূখি বাঁধার জট ভাঙ্গতে না হাফেজখানার ঘাঁ-ঘেষা অংশটুকু কাজ না করে চলে যায়।পরে বর্ষা চলে আসায় বৃষ্টির পানিতে কাঁদায় ভরপুর হয়ে চলাচলা অযোগ্য হয়ে পড়ে।তাই জনগণের র্দূভোগ নিরসনে ভেড়াজাল ভেঙ্গে কাজটি সমাপ্ত করি।তবে কাজটির জন্য সামান্য বাজেট পেয়েছি।কিন্তু কাজটি সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে করতে গিয়ে আমার সবমিলিয়ে সাড়ে ৩লক্ষ টাকার মত খরচ হয়েছে।যদি ঠিকাদার কাজটি করতে পারতো,তাহলে এত টাকাও লাগতো না,জনগণও চলাচলে কষ্ট পেত না বলে জানিয়েছেন।
পাঠকের মতামত: